তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। কম্পনের মাত্রা ৭.১। ভূমিকম্পের পরেই জাপানের দক্ষিণ উপকূলে জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
ভূবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ১২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের বাস জাপানে। বছরে সেখানে কমপক্ষে ১৫০০ বার ভূমিকম্প হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের তীব্রতা তত বেশি হয় না। তবে অঞ্চল বিশেষে ভূমিকম্পের প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন।
ভূগর্ভের কত গভীরে কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে, তার উপরও নির্ভর করে ভূমিকম্পের তীব্রতা।
জাপানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জাপানের দক্ষিণের কিয়ুশু দ্বীপের পূর্বে, ভূগর্ভের ৩০ কিলোমিটার থেকে কম্পনের উৎপত্তি। জাপান সরকারের তরফে ভূমিকম্প পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপান। কারণ সেখানে মাটির নীচের টেকটোনিক পাতগুলি সবচেয়ে সক্রিয়। তাই সেখানকার বাড়িঘর বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়, যাতে তীব্র কম্পন সহ্য করেও টিকে থাকে সেগুলি। ইতিমধ্যে মিয়াজাকিতে সমুদ্রে ২০ সেন্টিমিটারের বেশি উঁচু ঢেউ দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে কিউশু এবং শিকোকুতে এক মিটারের বেশি উঁচু ঢেউ দেখা গিয়েছে। ভূমিকম্পের পরেই জাপানের আবহাওয়া দপ্তর এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, “একাধিকবার সুনামি দেখা দিতে পারে উপকূল অঞ্চলগুলিতে।
দয়া করে আপাতত সমুদ্রে নামবেন না, উপকূল অঞ্চলে যাবেন না। যতক্ষণ না সতর্কতা তুলে নেওয়া হচ্ছে।” নিউক্লিয়ার রেগুলেশন অথরিটি জানিয়েছে যে কিউশু এবং শিকোকুতে বর্তমানে চালু তিনটি সহ ১২ টি পারমাণবিক চুল্লি নিরাপদ রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতেও তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। যার ফলে অন্তত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্প এবং সুনামিতে বিধ্বস্ত হয়েছে সূর্যোদয়ের দেশ।
২০১১ সালে ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামিতে গোটা জাপান কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে ৯ থেকে ৯.১ মাত্রার অতিশক্তিশালী ভূমিকম্পে বারবার কেঁপে ওঠার পরেই সুনামি সতর্কতা জারি হয়। নামির জেরে কমপক্ষে ১৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সূত্র : সিবিএস নিউজ