অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সহকারী বা অন্য কোনোভাবে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালগুলোতে যাতে তদারকি ও বক্তব্য রাখার সুযোগ থাকে তাই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, এটি কীভাবে হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। পুলিশকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে সব মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের সিস্টেম অনেকখানি ভেঙে পড়েছে। জনগণ ও প্রশাসন একসাথে কাজ করলে দেশকে গড়ে তোলা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞ ও দক্ষদের উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমরা দুইজন উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছি। পাশাপাশি আরও ছাত্র প্রতিনিধিরা অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবে।
এর আগে, শুক্রবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মন্ত্রণালয় দফতর বন্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে রয়েছে ২ বিভাগ ও ২৫ মন্ত্রণালয়। এছাড়া, ১৩ জন উপদেষ্টাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে, ঢাকার বাইরে থাকায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা ও মুক্তিযুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটের উপ-অধিনায়ক ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক উপদেষ্টা হিসেবে গতকাল শপথ নেননি। তারা শপথ নিলে প্রধান উপদেষ্টার অধীনে থাকা দফতর কমতে পারে।
জেএন/এমআর