বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এর পর থেকে সারা দেশের মানুষের মতো ব্যবসায়ী সমাজও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে।
সেই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরেছে দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
তবে সবার প্রত্যাশা, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করায় অগ্রাধিকার দেবে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন সরকার আসবে সরকার যাবে। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে। এ জন্য দরকার সুশাসন ও গতিশীল অর্থনীতির জন্য সরকারের নীতিসহায়তা।
প্রতিবছর দেশে প্রায় ২০ লাখের বেশি জনশক্তি শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। সেখানে সরকারি খাতে মাত্র ৫ শতাংশ এবং ৯৫ শতাংশ বেসরকারি খাতে।
দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের হিস্যা ৮৫ শতাংশ। তাই যুবসমাজকে কর্মমুখী করতে ব্যবসায় বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে সরকারকে কার্যকর নীতিসহায়তা দিতে হবে। তা না হলে অর্থনীতিকে গতিশীল করা যাবে না।
বর্তমান সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বনেতাদের কাছে সম্মানিত ও গ্রহণযোগ্য। তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠনের ফলে দেশের মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা কেটেছে। বিশ্বের নীতিনির্ধারক মহলে তাঁর অবস্থান রয়েছে।
এ জন্য তাঁর পক্ষে দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত গতিশীল করা সম্ভব। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকলেও তিনি বিশ্বনেতাদের কাছে এগিয়ে আছেন। তাই বাংলাদেশকে বিশ্ববাজারে এগিয়ে নিতে তাঁকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের মতে, সরকার পতনের আন্দোলনে পিছিয়ে পড়া অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আইন-শৃঙ্খলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সূত্র কালের কণ্ঠ
লেখক : জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, এফবিসিসিআই