সরকারের পলিসি ডিসিশনে (নীতিগত সিদ্ধান্ত) আদালতের নাক গলানো উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুদের নিহত হওয়ার’ ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন ও ক্ষতিপূরণ চাওয়া রিটের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী তৈমুর আলম খোন্দকার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। শুনানিকালে রিটকারী আইনজীবী নিহত শিশুদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আরজি জানান।
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, দিলে কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন, এ বিষয়ে দ্রুতই সরকার পলিসি ডিসিশন নেবেন। পলিসি ডিসিশন না নেওয়া পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আরজি জানাচ্ছি।
এসময় হাইকোর্ট রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘সবে তো সরকার গঠন হলো। আপনি নিজেও তো এই সরকারের সফলতা চান। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন। অ্যাটর্নি জেনারেল তো বলছেন, সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সরকারের পলিসি ডিসিশনে আদালতের নাক গলানো উচিত নয়। দেখেছেন তো পলিসি ডিসিশনে (কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়) হস্তক্ষেপ করার কারণে কতকিছু হয়ে গেলো।’
শুনানি শেষে হাইকোর্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে শিশুদের হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না ও নিহত শিশুদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ‘হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে নিহত’ প্রত্যেক শিশুর পরিবার ১ কোটি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হাইকোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খোন্দকার রিটটি দায়ের করেন।
জেএন/এমআর