টপ ইনড টি-টোয়েন্টি সিরিজে আশা জাগিয়ে ফাইনালে উঠেও শিরোপা ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশের হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট।
ফাইনালে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ৩২ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের দলটিকে। ব্যাটিং ব্যর্থতাতেই শিরোপা হারিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, আফিফ হোসেন ও আকবর আলীরা।
বিগ ব্যাশের দল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান করে। জবাবে এইচপি ইউনিট ১ বল আগে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায়।
৩২ রানের হারে টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো এইচপি ইউনিটকে। লক্ষ্য কঠিন ছিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে এই রান হয়ে যায় অনায়াসেই। ফাইনাল জিততে প্রয়োজন ছিল দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের। সঙ্গে আক্রমণাত্মক মানসিকতা। কিন্তু শিরোপা জিততে তেমন চেষ্টা দেখা যায়নি ব্যাটসম্যানদের।
ওপেনার তানজিদ ২৯ বলে ৩৫ রান করেন মাত্র ২ চার ও ১ ছক্কায়। মারকুটে আরেক ওপেনার জিসান আলম মেটাতে পারেননি প্রয়োজনীয়তা। ১৯ বলে মাত্র ১৮ রান করেন। তিনে নামা পারভেজ হোসেন ইমন ৬ বলে করেন ৩ রান।
এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটও হাসেনি। ১৩ বলে ১৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে। আকবর আলী খুলতে পারেননি রানের খাতা।
আগে ম্যাচে রান পাওয়া শামীমের ইনিংস থেমে যায় ২ বলে ৪ রানে।শুরুর ছয় ব্যাটসম্যানের কেউই যখন ভালো করেনি তখনই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।
পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন। মাহফুজুর রহমান রাব্বী ১৯ বলে ২১, রাকিবুল হাসান ৬ বলে ১২ ও রিপন মন্ডল ১৩ বলে ১১ রান করেন।
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন জর্ডান বাকিংহ্যাম, লিয়াম স্কট, টিম ওকলে, নোয়া ফাইডে ও লিয়ড পোপে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অ্যাডিলেডের ইনিংসকে বড় করেন টম ও’কনেল। ৩৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেন। শেষ দিকে দলের চাহিদা পূরণ করেন রায়ান কিংস। ১৯ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ৫ চারে। এছাড়া ১৮ বলে ৩০ রান করেন লিয়াম স্কট। স্যাম রাহালের ব্যাট থেকে ১৩ বলে আসে ২০ রান।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই অ্যাডিলেড কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশের দলটিকে। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে না পেরে শিরোপার আক্ষেপ নিয়ে দেশে ফিরতে হবে তাদের।
বোলিংয়ে রিপন মন্ডল ৩৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন রকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বী ও আফিফ।
জেএন/পিআর