ফরাসি চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রখ্যাত প্রযোজক ও লেখক অ্যালাইন ডেলন মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
রবিবার (১৮ আগস্ট) ফ্রান্সের ডউচি শহরে নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যালাইন ডেলনের পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকের বিখ্যাত সব ইউরোপীয় সিনেমায় তিনি অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
২০১৯ সালে ডেলনের স্ট্রোক হয়েছিল। এরপর থেকে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ।
শোকবার্তায় তিনি ডেলনকে ফরাসি একজন কীর্তিস্তম্ভ বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘ডেলন তারকার চেয়ে বেশি কিছু ছিলেন।’
ডেলন সাড়া জাগানো কিছু সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলো হলো ‘রোকো অ্যান্ড হিজ ব্রাদার্স’ (১৯৬০) ‘দ্য লিওপার্ড’ (১৯৬৩), ‘পার্পল নুন’, ‘দ্য ইক্লিপস’, ‘লে সামোরাই’ (১৯৭৬) ও ‘দ্য রেড সার্কেল’ (১৯৭০)। ১৯৩৫ সালে প্যারিসে জন্ম নেওয়া এ অভিনেতা চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় শুরু করেন ১৯৫৭ সালে।
‘কুয়ান্ড লা ফেমে সেন মেলে’ নামের একটি সিনেমায় তিনি একজন খুনির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
অ্যাকশন, ড্রামা ও ক্রাইম এ তিন ধারার গল্প নিয়েই দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। তাঁর ‘দ্য সিসিলিয়ান ক্ল্যান’ ( ১৯৬৯) ও ‘বোরসালিনো’ (১৯৭০) সিনেমা ফ্রান্স ও ইতালি উভয় দেশের বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল।
প্রায় শখানেক সিনেমায় অভিনয়সহ কয়েক ডজন সিনেমা পরিচালনাও করেছেন ডেলন। জীবদ্দশায় পেয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার।
১৯৯৫ সালে তাঁকে একটি সম্মানসূচক গোল্ডেন বিয়ার ও ২০১৯ সালে কানে সম্মানসূচক পালমে ডি’অরও দেওয়া হয়েছিল।
তবে কিছু বিষয়ে সমালোচিতও ছিলেন ডেলন। বিতর্কিত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব ছিল তাঁর। ১৯৬৮ সালে যৌন, মাদক ও খুনের কেলেঙ্কারিতে ডেলনের নাম আসে।
তবে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়নি।
জেএন/পিআর