কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদেশে ৮১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি জানায়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ১৮ থেকে ৩০ বছরের তরুণ ও যুবক। তাদের সংখ্যা ২৪০ জন আর শিশু নিহত হয়েছে ৮৩ জন।
আর সারাদেশে আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এসময় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনসহ বিচার প্রক্রিয়া সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহবান জানানো হয়।
জুলাইয়ের শুরুতে শুধু ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন হলেও ১৬ তারিখ থেকে তা ছড়িয়ে পরে সারাদেশে। ওইদিন সহিংসতায় নিহত হয় ৬ জন। দিন যত বাড়তে থাকে ততো বাড়তে থাকে সহিংসতা, বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা।
হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় সরকার পতনের দিন ২০৫ জন। পরিসংখ্যানে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ৩০ বছরের কম ৬৯ শতাংশ।
এসময় তারা নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের আহবান জানান। জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবিও করা হয়।
সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত ও নির্দেশদাতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে যারা কোটা সংস্কারে হত্যাকান্ডকে সমর্থন করেছেন তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
সহিংসতায় যেসব নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা করা হয়েছে তা কোথা থেকে দেশে এসেছে সেটিও খুজে বের করার তাগিদ দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
জেএন/পিআর