কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল শেষে অবশেষে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।
তবে ফল কীভাবে নির্ধারিত হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে আসবে বলে জানানো হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে বেশ কয়েকবার স্থগিত হয় চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা।
সবশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে স্থগিত পরীক্ষাগুলো। তবে অনেক শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, পরীক্ষা বাতিলের।
সেই দাবি না মেনে এদিন জানানো হয়, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের পরীক্ষা শুরু কথা থাকলেও তা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। তবে পূর্ণ নম্বরে নয়, বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো হবে অর্ধেক প্রশ্নত্তোরে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এরপরই সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানানো শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তাদের চাপের মুখে জানানো হয়, চলতি বছরের এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো আর হচ্ছে না।
এর আগে, পরীক্ষা বাতিলের দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীরা জানান, দেড় মাসের পরীক্ষা আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি।
কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। এখন আবার দুই সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। এত সময় নিলে ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হবো কবে?
তারা বলেন, একটা বোর্ড পরীক্ষা কীভাবে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ঝুলে থাকে? সে জন্য আমরা এটা মানি না। আমরা চাই যেসব পরীক্ষা হয়েছে সে অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হোক। বাকি যে ছয়টি পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলো এসএসসির নাম্বারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম্বার দেয়ার দাবি তাদের।
সচিবালয়ে শিক্ষার্থীরা ঢুকে পড়ার আগে নতুন করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা আসে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের পরীক্ষা শুরু কথা থাকলেও তা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে বলে জানানো হয়। তবে পূর্ণ নম্বরে নয়, বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো হবে অর্ধেক প্রশ্নত্তোরে।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগের যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো সেখানে এখানে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। তবে পরীক্ষার সময় পূর্ন সময়েই থাকছে।
আগামীকাল বুধবার (২১ আগস্ট) এ বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স করবেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে, গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সূচি অনুযায়ী এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি রয়েছে।
বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা আটকে গেছে। যদিও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১৩টি বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এর মধ্যে বাধ্যতামূলক বাংলা ও ইংরেজির চারটি বিষয় (প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র) এবং আইসিটি। ৮টি বিষয় ঐচ্ছিক।
জেএন/পিআর