ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় পরিবর্তনের পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এখন নতুন শপথ বাক্য পাঠ করবে শিশুরা।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন শপথ বাক্য পাঠের নির্দেশনা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ক্ষমতার পালা বদলের ১৫ দিন পর মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশের শপথ বাক্যে পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
তিন বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকার শপথ বাক্যে পরিবর্তন এনেছিল। এখন তা পরিবর্তন করে আগের আদলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বাদ দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথাটি।
২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার শপথ বাক্যে পরিবর্তন এনে বঙ্গবন্ধুর নাম যোগ করেছিল।
সেই শপথ বাক্যটি ছিল- “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিবর্তন এনে সেই শপথ বাক্যের রূপ দিয়েছে এমন-
“আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব।
হে মহান আল্লাহ/ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”
সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশকালে জাতীয় সংগীতের পর নতুন শপথ বাক্য পাঠ করতে বলা হয়েছে।
জেএন/পিআর