বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে পারিনি বলে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। টেস্ট, প্রি–টেস্টের মূল্যায়নপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, ‘অনেক জায়গায় বল প্রয়োগ করে শিক্ষকদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি দৃষ্টিকটূ। পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।’
পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাসমূহ বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে অর্ধেক নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
এ সিদ্ধান্তের পর পরীক্ষার্থীদের একটি দল পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের দাবির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে পরীক্ষা বাতিলে পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এদিকে স্থগিত থাকা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী রূপ বদলিয়ে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নামছে। তাদের আন্দোলনের পথ সঠিক নয়।’
সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়।
জেএন/পিআর