ভারতে ধর্ষণ ঠেকাতে কঠোর আইন করার দাবিতে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এ চিঠি পাঠান।
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার চলমান তদন্ত নিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাতিজা ও তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য অভিষেক ব্যানার্জি।
গোটা ভারত জুড়ে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। ৩১ বছর বয়সী পোস্ট গ্রাজুয়েট’এর দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর গোটা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
এমন এক পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি লম্বা পোস্ট করেন অভিষেক। এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে অভিষেক লেখেন, ‘গত ১০ দিন ধরে, যখন গোটা দেশ আরজি কর মেডিকেল কলেজের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, ন্যায়বিচারের দাবি করছে, তখন একাধিক রিপোর্ট বলছে, এই সময়ে সারা দেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে– এবং এই সময়ে প্রতিটি ঘটনায় মানুষ এই ভয়ংকর অপরাধের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
কার্যকর আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৯০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে- যা প্রতি ঘণ্টায় ৪টি এবং প্রতি ১৫ মিনিটে ১টি ঘটনার সমান। তার অভিমত, ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করা কতটা জরুরি তা স্পষ্ট।
আমাদের কঠোর আইন দরকার যেখানে ৫০ দিনের মধ্যে গোটা বিচার প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি এবং দোষী সাব্যস্ত করার আদেশ থাকবে। সেইসাথে অপরাধীদের জন্য কঠোরতম শাস্তির বিধান থাকবে।
তৃণমূল সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কাছে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন চালু করার জন্য রাজ্য সরকারকে ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে।
এদিকে অভিষেকের এই দীর্ঘ পোস্টের পরই এদিন বিকালের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন ‘গোটা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনাও ঘটছে।
এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিপাত করছি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গোটা দেশে গড়ে ৯০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে- এটি খুবই লজ্জাজনক।
এটা সমাজ ও জাতির আস্থা ও বিবেককে নাড়া দেয়। এটা বন্ধ করা আমাদের সকলের বাধ্যতামূলক কর্তব্য যাতে নারীরা নিরাপদ ও সুরক্ষিত বোধ করে।
জেএন/পিআর