চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে লালিত চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
সভায় দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখা এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পেছনে ফেলে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলের আবারও ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন বলে মতপ্রকাশ করে চট্টগ্রামের বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজ।
সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম-৯ আসনের প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী ডা. মো. আফছারুল আমীন ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী এমএ লতিফ।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা আর বিশ্বাস করা এক নয়। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতেন না। সে কারণেই জিয়াউর রহমান গোলাম আজমকে দেশে এনেছেন। শাহ আজিজকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা কখনো বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন দিতে পারে না।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিলেন দেশ কোন পথে যাবে। সাংবাদিকদের দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা গণমাধ্যমকে শিল্পে পরিণত করেছেন। রাজনৈতিক সৎ সাহস আছে বলেই তিনি এতগুলো গণমাধ্যমের অনুমতি দিয়ে সমালোচনাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। একজন দার্শনিক রাজনীতিক হিসেবে তিনি শুধু নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করছেন না, তিনি আগামী কয়েকটি প্রজন্মের কথা চিন্তা করছেন।
ডা. আফছারুল আমীন বলেন, সাংবাদিকদের লেখনি নৌকার জন্য বড় পাওয়া। সাংবাদিকরা সবসময় নৌকার জন্য কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে দেখলে সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দিতে উৎসাহিত হবে। সাংবাদিকরা যে সমর্থন দিলেন তা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকাকে এগিয়ে নেবে। সাংবাদিক বন্ধুদের রাজপথে দেখলে ভোটাররা উদ্বুদ্ধ হবে এবং কেন্দ্রে আসবে। সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। ১৯৭১ সাল থেকে সাংবাদিকরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করছে। ৩০ ডিসেম্বর নৌকার জয়ের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াশীলদের চূড়ান্ত কবর রচিত হবে।
এমএ লতিফ বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলবাদীরা অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে। নৌকার বিজয়ে সাংবাদিকদের সমর্থন বড় ভূমিকা রাখবে। আওয়ামী লীগ সরকার আরেকবার ক্ষমতায় এলে দেশে শিল্প ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে দিয়েছেন। বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে। পতেঙ্গা টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল ও সীতাকুণ্ড-মিরসরাইয়ে টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইকোনমি জোনের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল।
এসময় নগরের তিন প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও আলী আব্বাস, বিএফইউজে সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, জনকণ্ঠের ডেপুটি এডিটর মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ কুমার দস্তিদার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজাজ ইউসুফী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বপন দত্ত, একুশে টেলিভিশনের আবাসিক প্রতিনিধি রফিকুল বাহার।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয়নিউজের সম্পাদক অহীদ সিরাজ চৌধুরী, ফারুক ইকবাল, শহীদ উল আলম, ওমর কায়সার, সৈয়দ উমর ফারুক, নুরুল আমিন, হাসান ফেরদৌস, আসিফ সিরাজ, তপন চক্রবর্তী, জিএম শাহাবুদ্দিন খান, মুহাম্মদ শামসুল হক, দিবাকর ঘোষ, স্বপন কুমার মল্লিক, নির্মল চন্দ্র দাশ, মনজুর কাদের মনজু, মো. আলী, কামরুল হাসান বাদল, চৌধুরী ফরিদ, দেবদুলাল ভৌমিক, রাশেদ মাহমুদ, শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, নজরুল ইসলাম, রোকসারুল ইসলাম, একরামুল হক বুলবুল, সবুর শুভ, রতন কান্তি দেবাশীষ, মিন্টু চৌধুরী, আবিদ হোসেন, শামসুল হুদা মিন্টু, কাশেম শাহ, কুতুব উদ্দিন, বিএম মনজুর এলাহী, দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, ফারুক তাহের, আতিকুর রহমান, শিমুল নজরুল, আসিফ সিদ্দিকী, সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ, এজেডএম হায়দার, জাকির হোসেন লুলু, ভূঁইয়া নজরুল, সুভাষ কারণ, খোরশেদুল আলম শামীম, তমাল চৌধুরী, আবুল কালাম বেলাল, প্রদীপ নন্দী, মাখন লাল সরকার, আলমগীর সবুজ, বিপুল বড়ুয়া, যীশু রায় চৌধুরী, জামাল উদ্দিন ইউসুফ, শিব্বির আহমেদ রাশেদ, মাসুম হাবীব, রুবেল খান, রাজেশ চক্রবর্তী, নিপুল কুমার দে, অমিত বড়ুয়া, আল রাহমান, অনিন্দ্য টিটো, রনজিত কুমার দে, বিশ্বজিত বড়ুয়া, মিঠুন চৌধুরী, সান্টু কুমার দাশ, কামাল উদ্দিন খোকন, সাইদুল আজাদ, মাসুদুল হক ও অনুপম পার্থ।