উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় এই পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বন্যা পরিস্থিতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যাকবলিত ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারের ৭৩ উপজেলার ৫৪৫ ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৯টি পরিবার।
পাশাপাশি আকস্মিক এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫২ লাখ ৯ হাজার ৭৯৮ জন।
এদিকে রোববার পর্যন্ত বন্যায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লায়। দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের এই জেলায় বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে বন্যায় ৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, নোয়াখালী ও কক্সবাজারে বন্যায় তিন জন করে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যায় একজন করে মোট ৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭৩ জন।
পাশাপাশি বন্যাকবলিত ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে ৭৪৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। অন্যদিকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ২৯৮টি গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে।
জেএন/পিআর