পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কয়েকটি জেলায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৮ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক বাহিনীর পাল্টা অভিযান পরিচালনা করলে ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার (এলইএ) ১৪ সদস্য মারা গেছেন। আহত হয়েছে আরও অনেকে।
রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) হতাহতের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ডনের।
রোববার রাতে বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং, কালাত, পাসনি, ও সুনসার জেলার থানায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রদেশটির রাজধানী কোয়েটাসহ সিবি, পঞ্জগুর, মাস্তুং, তুরবত ও বেলা শহরে সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গ্রেনেড হামলা চালায়। প্রদেশের গোয়াদর জেলায় সুনসার থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা।
মুসাখাইল জেলার সহকারী কমিশনার নজীব কাকার জানান, রোববার দিবাগত রাতে অস্ত্রধারীরা ররশম এলাকায় আন্তপ্রদেশ মহাসড়কে অনেকগুলো যাত্রীবাহী গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক গাড়ি থামায়। এসব গাড়ি থেকে অস্ত্রধারীরা বেছে বেছে ২৩ পাঞ্জাবিকে হত্যা করে। মহাসড়কটি পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানকে যুক্ত করেছে।
পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। প্রাণ হারান নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ১৪ সদস্য।
জেএন/পিআর