বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার তুলে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
সেই প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, এ ব্যাপারে তাদের কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা যায়, তা করবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পড়ে শোনান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে আরেক সাংবাদিক বলেন, তিনি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত দেড় সপ্তাহে বাংলাদেশে হাজারো মামলা, হত্যা মামলা, দুর্নীতির মামলা হয়েছে। তখন জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘দুঃখিত। আমি প্রশ্নটি বুঝতে পারিনি। ’
তখন প্রশ্নকারী সাংবাদিক আবার বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রায় ৫০ লাখ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে হাজারের বেশি হত্যা ও দুর্নীতির মামলা করা হয়েছে।
এসব মামলার আসামিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আছেন। যিনি দেশের বাইরে আছেন। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে আছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। ’
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘ঠিক আছে। কিন্তু প্রশ্নটা কী?’ প্রশ্নকারী বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হিসেবে ভিন্নমতের ব্যক্তিদের দমন করার কৌশলের ব্যবহার নিয়ে জাতিসংঘের কোনো উদ্বেগ আছে কি?’
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ, যারা রাজনৈতিক ও মানবিক দিক দিয়ে দেশটির জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, তারা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যা যা করা যায়, তা করবে। ’
এসময় আরেক প্রশ্ন করে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহ হলো। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এখনো স্বস্তিতে দায়িত্বে ফিরতে পারেননি। ’
এই প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশে যা কিছু ঘটছে, তার প্রতিটি বিষয়ে, ঘণ্টায় ঘণ্টায় তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন না। তিনি মনে করেন, প্রশ্নকারীর প্রথম প্রশ্নে যে উত্তর তিনি দিয়েছেন, তা তার দ্বিতীয় প্রশ্নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ’
জেএন/পিআর