নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গণপরিবহনের যাত্রী ও চালকরা।
মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত দেখা দিয়েছে এ যানজট।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনে এই যানজট শুরু হয়ে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত দীর্ঘ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যানজটের কারণে বাসচালক থেকে শুরু করে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। ফলে ৫ মিনিটের পথ ঘণ্টাতেও অতিক্রম করা সম্ভব হচ্ছে না।
রহমান নামে এক বাসযাত্রী বলেন, সকালে কাঁচপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিমরাইল মোড় থেকে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে বাস থেকে নেমে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
কাঁচপুরে একটি পোশাক কারখানার কর্মী মানোয়ার ইসলাম বলেন, ‘যানজটের কারণে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেই গার্মেন্টসে যেতে হচ্ছে।’
বাসচালক শহর আলি বলেন, সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত আসতে আমার প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। রাস্তায় এতোই জ্যাম, যে কারণে শিমরাইল মোড়ে এসে বাস থেকে নেমে গেছি। একঘণ্টা ধরে বসে আছি, চাকা ঘুরছে না। বেশ কয়েকজনের কাছে শুনেছি, যানজট নাকি লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত আছে। তবে, যানজটের কারণটা কেউ বলতে পারছেন না।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক টিআই আবু নাইম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যানজট বর্তমানে আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
তবে, কী কারণে যানজট সৃষ্টি হয়েছে সেটা এখনও জানতে পারিনি। যানজট নিরসনে আমদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
জেএন/পিআর