চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গেল দুমাসে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসময়ে ৪ হাজার ৭শ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। যা ২০২৩ সালে এসেছিল ৩ হাজার ২০০ টন।
জানা গেছে, শুধুমাত্র গেল বুধবার বন্দরে নেমেছে ৪০৫ টন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (রেফার) কনটেইনারে চীন, পাকিস্তান, মিসর থেকে আসা টনে টনে এসব পেঁয়াজ আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়েছে সাড়ে তিনশ’ টন।
চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র দিয়ে থাকি আমরা।
আমদানির পাইপলাইনে আরও পেঁয়াজ আছে। আমদানিকারকরা নতুন নতুন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে অনুমতি নিচ্ছেন।
সরেজমিন খাতুনগঞ্জে দেখা গেছে, আড়তগুলোতে দেশি, ভারত, চীন, পাকিস্তান, মিসর, থাইল্যান্ডের পেঁয়াজ ভর্তি। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কম হলেও বড় বড় চীনা পেঁয়াজে বাজার সয়লাব।
কৃষ্ণ চৌধুরী নামের একজন বেপারী বলেন, চীন থেকে বন্দরে আসা রেফার কনটেইনার থেকে ডেলিভারি নিয়ে সোজা খাতুনগঞ্জে নিয়ে এসেছি।
এসব পেঁয়াজ বড় পরিবার, হোটেল রেস্টুরেন্ট ও বিয়ে শাদির অনুষ্ঠানে বেশি চলে। আশার কথা হচ্ছে, এসব পেঁয়াজের রং লালচে, ঝাঁজেরও কমতি নেই।
তিনি বলেন, সচরাচর চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। রসুন, আদা আমদানি করেন বেশি। তবে পেঁয়াজের বাজারে সংকট তৈরি হলে দ্রুততম সময়ে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন বিভিন্ন দেশ থেকে।
আল আকসা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জানান, বন্যা ও সীমান্তে নানা জটিলতার কারণে পেঁয়াজের বাজারে সংকট তৈরি হয়েছিল। এ অবস্থায় সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসায় বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে।
এদিকে বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হলেও চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে এখনো বেশিই রয়েছে দামের ঝাঁজ। বন্যার অজুহাতে নগরে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
জেএন/পিআর