অতিবর্ষণ, পাহাড়ি ও উজানের ঢলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যায় অন্তত ৪৭৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এবারের বন্যাতে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বাগান বাজার ছাড়াও দাঁতমারা, নারায়ণহাট, ভূজপুর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, খিরাম, রোসাংগিরী, নানুপুর, লেলাং, পাইন্দং, কাঞ্চন নগর, বখতপুর, ধর্মপুর, সুন্দরপুর, সমিতিরহাট, জাফতনগর, আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন এবং ফটিকছড়ি পৌরসভা, নাজিরহাট পৌরসভা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, গবাদিপশুর অ্যাগ্রো ফার্ম, মৎস্য খাত, পুকুর, ফলের বাগান, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ব্রিজ-কালভার্ট, সড়ক, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব ক্ষতি হয়।
জানা যায়, পাশের দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর উজানের পানিতে হালদা নদী, ধুরুং খালের বিভিন্ন অংশে অতিরিক্ত পানির কারণে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও সর্তা খাল, লেলাং খাল, মন্দাকিনী খাল, কুতুবছড়ি খালসহ ফটিকছড়ির অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোর পানিতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বেশির ভাগ জনপদ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বন্যার পানি কমে গেলেও ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফটিকছড়ির মানচিত্রজুড়ে অভাবনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বন্যার্তদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ছাত্রসমাজ, ব্যক্তি উদ্যোগে যেভাবে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়, সেভাবে প্রকৃত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করতে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
জেএন/এমআর