আরব সাগরের উত্তরাংশে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে রাতের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আসনার প্রভাবে এরি মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলজুড়ে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকা চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখা বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড়ের এক নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ সতর্কতার কথা জানানো হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে সকালে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আসনা ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের উপকূলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। গুজরাটের পাশাপাশি পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধেও আসনা আঘাত হানতে পারে।
শনিবার সকালে আসনা গুজরাটের নালিয়া শহরের পশ্চিম উপকূল থেকে ২৫০ কিলোমিটার, পাকিস্তানের করাচির উপকূল থেকে ১৬০ কিলোমিটার এবং বেলুচিস্তানের পাসনি উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ছিলো।
আসনার প্রভাবে গুজরাটের জামনগর, সুরাট, পোরবন্দর, মোরবি, স্বর্কা এবং কুচ জেলায় বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। অতি বর্ষণের জেরে এসব জেলার অনেক এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে গুজরাটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষার মৌসুমে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের জন্য নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে না।
গত ১৩২ বছরের ইতিহাসে আরব সাগরে মাত্র তিনটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। তবে আগস্ট মাসে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় একটি বিরল ঘটনা।
জেএন/পিআর