তিন মাস বন্ধ থাকার পর আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে সুন্দরবন বনজীবী ও পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।
যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সুন্দরবনে প্রবেশ করা যাবে। সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা, বন্য প্রাণী এবং নদ-নদী ও খালে মাছের বিচরণ ও প্রজননের স্বার্থে প্রতিবছর তিন মাসের (জুন থেকে আগস্ট) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এরই মধ্যে বনজীবী ও পর্যটকরা বনে প্রবেশের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন বন বিভাগের চারটি রেঞ্জের প্রতিটিতে তিন হাজার করে মোট ১২ হাজার নৌকা সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতিপত্র বা বিএলসি (বোট লাইসেন্স সার্টিফিকেট) রয়েছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ বিএলসি পুনঃ নবায়ন করা হয়েছে।
এসব নৌকায় সাধারণত চার থেকে ছয়জন জেলে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের জন্য সুন্দরবনে যান।
সুন্দরবন বন বিভাগের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা নির্মল কুমার মণ্ডল জানান, তাঁর আওতায় ৯০০ বিএলসি রয়েছে।
এরই মধ্যে সবার বিএলসি নবায়ন করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে বনে প্রবেশের পাস (অনুমতিপত্র) দেওয়া হবে।
বনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার বলেন, ‘সুন্দরবন জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্র্যেই নয়, মৎস্য (মাছ ও চিংড়ি-কাঁকড়া-কুঁচে প্রভৃতি) সম্পদেরও আধার।
এ কারণে সুন্দরবনের মাত্স্যসম্পদ রক্ষায় ইন্ট্রিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে।
জেএন/পিআর