বৈদ্যুুতিক খুঁটির গর্ত করা নিয়ে বেলাল হোসেন রুবায়েত নামে এক যুবকের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে নগরের চশমাহিলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছোট ছেলে বোরহান উদ্দিন সালেহিনের নির্দেশে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন রুবায়েত। আহত রুবায়েত পেশায় ঠিকাদার। মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ভাই মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।
গুরুতর আহত অবস্থায় রুবায়েতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
রুবায়েত জয়নিউজকে বলেন, “বিভিন্ন মামলার আসামী মাইকেল রুবেল, শেখ সোলায়মান , তৈয়ব হোসেন রুবেল, শাহীন, হাসান খান, জাবেদ, রাহুল দাশ, সফিউল আজম মন্টিসহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা করে। উল্লেখ্য, সোলাইমান ও তৈয়ব রুবেল প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলোচিত সোহেল হত্যা মামলার আসামী।”
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, “পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণের জন্য খুঁটি দেয়ার জায়গা নির্ধারণ করে দেয়। প্রথমে সেই স্থানে গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। দুপুরের পর ঐ গর্ত ভরাট করে আমার ব্যক্তিগত জায়গায় ৪৪০ লাইনের খুঁটির জন্য গর্ত খোঁড়তে আসে। আমি কর্তব্যরতদের জিজ্ঞেস করলাম প্রকৌশলী দেখিয়ে দিলেন একস্থান, আপনারা আমার ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় কেন গর্ত খোঁড়ছেন? এতে সালেহিন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আমার চাচা কবির আহাম্মদ চৌধুরী মিমাংসার দায়িত্ব নেন। চাচা মিমাংসার দায়িত্ব নিয়ে পিডিবির প্রকৌশলীকে ফোন করেন। প্রকৌশলী আসার আগেই সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলে পড়ে। সোলাইমান ও রুবেল আমার মাথার ডান পাশে পিস্তলের বাট দিয়ে আঘাত করে। এই সন্ত্রাসীরা সালেহিনের লেলিয়ে দেয়া।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান রুবাইয়েত।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সালেহিনের মোবাইলে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ জয়নিউজকে বলেন, পিবিডির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানালে আামি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পিডিবি থেকে তাদের কাজে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে জানান ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ।
রুবাইয়েতের আঘাত এবং রক্তাক্ত অবস্থার ব্যপারে ওসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আপনি কোথাও খেলতে গিয়ে ইনজুরড হলে কিংবা মাথা ফাটাই ফেলতেই পারেন। এক্ষেত্রে আমার কী করার আছে?
ঘটনাস্থলে রুবেল, গফুর, জামিলসহ পুলিশের ৪ জন সাব-ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন বলে রুবাইয়েত জয়নিউজকে জানান। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ওসি বলেন, আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা হামলার কথা বলেনি। আপনিও তাদের সাথে কথা বলুন।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী ভিডিও দেখিয়ে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে জয়নিউজকে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে কর্মরত সংবাদ কর্মী সালেহিনের পক্ষ হয়ে মোবাইলে ধারণকৃত হামলার ভিডিও ডিলিট করিয়েছেন। ঐ প্রত্যক্ষদর্শী আরো জানান এলাকায় সিসিটিভি রয়েছে। সেসব ফুটেজ সংগ্রহ করলে সব পরিস্কার হবে। হামলার ঘটনার পর এলাকায় নগরের বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগও তিনি করেন।