টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বন্যা আক্রান্ত জেলার ১১টি জেলা হলো– ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষীপুর ও কক্সবাজার। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার এর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে।
বন্যা প্লাবিত উপজেলা ৬৮টি। ক্ষতিগ্রস্ত ৫০৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৬ লাখ ৫ হাজার ৭৬৭টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
বন্যায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন, নারী ৭ জন ও শিশুর সংখ্যা ১৮। কুমিল্লায় মারা গেছেন ১৭ জন, ফেনীতে ২৬ জন, চট্টগ্রামে ৬ জন, খাগড়াছড়িতে ১ জন, নোয়াখালীতে ১১ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ১ জন, লক্ষীপুরে ১ জন, কক্সবাজারে ৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ১ জন। মৌলভীবাজারে নিখোঁজ আছেন ১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পানিবন্দি লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মোট ৩ হাজার ৬১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৪১ জন লোক এবং ৩২ হাজার ৮৩০টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৪৭২টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে।
জেএন/এমআর