‘নির্বাচন প্রভাবিত করতে দেড়শ’ কোটি টাকা এনেছে একটি চক্র’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একটি চক্র দেশে দেড়শ’ কোটি টাকা এনেছে বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল থেকে নগদ প্রায় আট কোটি টাকা এবং ১০ কোটি টাকার চেক উদ্ধারের পর র‌্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন হাওয়া ভবনে চাকরি করতেন বলেও জানায় র‌্যাব।

- Advertisement -google news follower

আটক তিনজন হলেন আলী হায়দার (২৪), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও জয়নাল আবেদীন (৪৫)।

দুপুরে মতিঝিলের সিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ বলেন, এই টাকার একটি অংশ গতকাল (সোমবার) শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদের (অপু) কাছে পাঠানোর পরপর সেখানে নির্বাচনি সহিংসতা হয়েছে। কোটি টাকাসহ আটক তিনজনের একজন হাওয়া ভবনে কাজ করতেন।

- Advertisement -islamibank

সংবাদ সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ আরো দাবি করেন, গতকাল (সোমবার) রাত থেকে অভিযান চালিয়ে আমরা ১০ কোটি টাকা নগদ ও আট কোটি টাকার চেক উদ্ধার করেছি। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় টাকা ছড়ানো হয়েছে। মতিঝিলে ইউনাইটেড করপোরেশন ও ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ নামে অফিস খোলা হয়েছে। এই অফিসের বয়স দুই মাসের মতো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কালো টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়ানোর জন্য মূলত এই অফিস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এই অফিসটি দুই মাস আগে মতিঝিলে একটি বড় রাজনৈতিক দলের অফিসের পাশে ছিল। নিরাপত্তার কারণে সেই অফিস সরিয়ে এখানে আসেন এবং এখানে এসে কাজ শুরু করেন।

দুবাই থেকে হুন্ডি ও ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা এসেছে দাবি করে বেনজীর বলেন, দুই মাসে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। এর কথিত মালিক মাহমুদের অ্যাকাউন্টে এক মাসে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কালো টাকার মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রভাবিত করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। পেশিশক্তির ব্যবহার, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এসব উদ্দেশ্য ছিল তাদের।

বেনজীর আরো বলেন, আমরা এখানে একজন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর কাগজপত্র পেয়েছি। তিনি হলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ (অপু)। তাঁকে গতকাল (সোমবার) ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে। পাঠানোর পরপরই সেখানে নির্বাচনি সহিংসতা হয়েছে। যেখানে যেখানে টাকা গেছে সেখানেই নির্বাচনি সহিংসতা ঘটেছে। তার মানে আমরা বলতে পারি এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় নির্বাচনি সহিংসতা হয়েছে সেখানে এই টাকার একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ক্যাশ বই আছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাঠানোর স্লিপ আছে। দিনে কখনো ১১ কোটি, কখনো ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM