চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় বেরাতে এসে দুদিন আগে নিখোঁজ হয় ইউনির্ভাসিটি অব ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত আর মজুমদারের (২১)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ঝরনার কূপেই পাওয়া গেছে তার মরদেহ। নিখোঁজের পর দুদিন ধরেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝরনা এলাকার প্রতিটি কুপে তল্লাশী চালিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝরনা এলাকায় ঝরনার প্রতিটি ধাপে খুঁজেও সিফাতুরের সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তল্লাশি শুরু করে। দুপুরের দিকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিফাতুরের সাথে ঘুরতে আসা বন্ধুদের মধ্যে অনিক চন্দ্র মোহন্ত জানান, তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঝরনা এলাকায় ঢোকেন।
কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে পাহাড়ের একটি স্থানে বন্ধুরা মিলে মদ-গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করেন। এরপর বেলা ৩টার দিকে সিফাতুর নিখোঁজ হন।
পরবর্তী কয়েক ঘন্টা খোঁজার পরও তার খোঁজ না মেলায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং পরে ওইদিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে মিরসরাই থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়।
পরদিন বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঝরনার কূপে-ঝোপে জঙ্গলে সবখানে দেখেও উদ্ধার করতে পারেনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সিফাতুরের মরদেহ ঝরনার কূপের পানিতে ভেসে উঠলে বেলা ১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
নিহত সিফাতুর রহমান মজুমদার ঢাকার মিরপুর-১ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দ্বীপ্তেশ রায় জানান, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিফাতুরের মরদেহ ফুলে গেছে। মৃত্যুর কারণ ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। আপাদত এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
জেএন/পিআর