অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনীতিতে অবস্থার প্রেক্ষিতটা পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে রপ্তানি আয় আগের থেকে কমবে না বরং বেশি হবে। আমেরিকাও সবদিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ১৪৬তম বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের ৫৯তম পরিচালনা পর্ষদ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, রপ্তানি নিয়ে কিছু কিছু তথ্যগত ইস্যু ছিল। আমরা এগুলো নিয়ে আলাপ করেছি।
যারা যারা তথ্য সংগ্রহ করে, আমরা সবগুলো চালু রাখব। আমরা সবগুলো সমন্বয় করে সত্য চিত্র দেব। এক একজন এক এক রকম তথ্য দেবে, সেটা হবে না। কিছুটা পার্থক্য থাকে, এটা স্বীকার করতে হবে। বিরাট অসংগতি দূর করা হবে।
তিনি বলেন, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হবে যুক্তিসংগত। বিভিন্ন কম্পোনেন্ট আছে রপ্তানির, এগুলো দেখব। বিভিন্ন পণ্য আছে, ওগুলো দেখব। আর রপ্তানির ক্ষেত্রে রেগুলেটরি, ট্যাক্স সংক্রান্ত যেসব বাধা আছে, সেগুলো আমরা রিভিউ করব। আমাদের লক্ষ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ করা।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমরা মেনে করছি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি মোটামুটি ভালো হবে। অবস্থার প্রেক্ষিতটা চেঞ্জ হয়েছে, অতএব আগের থেকে কমবে না, আগের থেকে বেশি হবে।
এ সময় চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি কত হতে পারে, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এবার রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২.৪ শতাংশ।
এবার আমেরিকায় জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে তাদের বলা হয়েছে। আমরা আবার চেষ্টা করব।
আমরা আশা করি, আমেরিকা আমাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টি রাখবে সবদিক থেকে। অতএব জিএসপি পজেটিভ। আমরা অন্যান্যদের সঙ্গে আলাপ করছি রপ্তানির বিষয়ে।
জেএন/পিআর