চট্টগ্রাম নগরীতে কমিউনিটি পুলিশের থানাভিত্তিক ও কেন্দ্রীয় যে কমিটি ছিল, সেগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে।
নতুনভাবে সর্বজনশ্রদ্ধেয় নাগরিকদের নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ওপেন হাউজ ডে চালুর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, সব শ্রেণিপেশা ও ধর্মের ভিত্তিতে সর্বজনশ্রদ্ধেয় যারা আছেন, যাদের বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই, তাদের নিয়ে কমিটি করা হবে।
কারও রাজনৈতিক মতামত থাকতে পারে, কেউ নির্দিষ্ট একটা পার্টি করতে পারেন। কিন্তু তার বিরোধী পার্টি যিনি করেন, তার প্রতি যদি কমিউনিটির শ্রদ্ধা থাকে, আপত্তি না থাকে, তাহলে তিনিও থাকবেন কমিটিতে। অর্থাৎ, সর্বজনশ্রদ্ধেয় মানুষগুলোই থাকবেন।
ওপেন হাউজ ডে চালুর বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, অপরাধ বিভাগের চারজন উপকমিশনার (ডিসি) প্রতি রবিবার তাদের অফিসে ওপেন হাউজ ডে করবেন।
কোন একজন ব্যক্তি থানায় গিয়ে প্রত্যাশিত সেবা না পেলে তিনি রবিবার সরাসরি উপকমিশনার (ডিসি) অফিসে গিয়ে সেটি বলতে পারবেন। আর ডিসি অফিসে প্রত্যাশিত সেবা না পেলে কমিশনারের কাছে যেতে পারবেন, প্রতি মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনার সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন।
হ্যালো সিএমপি, আইস অব সিএমপি, আমার গাড়ি নিরাপদ- এগুলো চালু করা হবে। আগে থেকে চলে আসা যেগুলো ভালো, সেগুলো থাকবে।
শহরজুড়ে গভীর রাত পর্যন্ত টহলের ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগও দ্রুতই নিতে চান সিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ৭৬টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি পুড়ে গেছে ২৮টি। বাকিগুলো মেরামত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গাড়ির জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। তবে ফুট প্যাট্রল অথবা হোন্ডা প্যাট্রল শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, অন্তত রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ শহরকে পুলিশি প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসবো। দুটি করে হোন্ডা, চারজন করে লোক, একটি করে ওয়াকিটকি, গ্যাসগান-শটগান, একটি এসএমজি, একটি রাইফেল দিয়ে টহল চলবে।
একজন এএসআই, সঙ্গে তিনজন কনস্টেবল থাকবেন। জন-উপদ্রবের বিরুদ্ধে থানাকে সহযোগিতা করা ও মানুষের প্রয়োজনে দ্রুত রেসপন্স করা হবে তাদের কাজ। কমিউনিটি-বেজড পুলিশিং চলবে।
জেএন/পিআর