সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরেন তারা।
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত হয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি।
পরে তাদের ক্ষমা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১৪ বাংলাদেশি গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন। আজ দ্বিতীয় ধাপে আরও ২৬ বাংলাদেশি আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে দুই দফায় আমিরাত থেকে ৪০ জন দেশে ফিরলেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর দণ্ডিত ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
সেদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ক্ষমা করেছেন। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমর্থনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখান থেকে তাদের আটক করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এরপর ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিচারের পর এই প্রবাসীদের মধ্যে কারও ১০ বছর, কারও ১১ বছর এমনকি কারও কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশিদের ভিসা-সুবিধাও বন্ধ করে দেশটি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে, ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ড. ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি ক্ষমা করে দেন।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ অবৈধ। সেখানে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ মিছিলের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকে দেশটি।
বাংলাদেশি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গায় উসকানি ও জড়ো হওয়ার’ অপরাধে মামলা করা হয়েছিল।
জেএন/পিআর