নৌকার হ্যাট্রিক জয়ে মরিয়া হয়ে ভোটের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ছুটছেন চট্টগ্রাম থেকে ফেনী আবার মহেশখালী থেকে সীতাকুণ্ড-হাটহাজারী, আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের জয়ের লক্ষ্যে দিন-রাত এক করে কাজ করছেন নগরপিতা।
নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। বিরামহীন প্রচারে উৎসবের জনপদে পরিণত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। মিছিল-স্লোগানে নগরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা মুখরিত করে রাখছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সমর্থকরা। ভোটাররা নগরপিতাকে যেখানে পাচ্ছেন সেখানেই মোবাইলে সেলফি তুলে জানান দিচ্ছেন নৌকায় ভোট দেবেন তাঁরা।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় প্রচারণার ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফের পক্ষে বন্দর নিমতলা এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভা করেছেন নগরপিতা। এরপর বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম-৯ আসনের মহাজোটের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের জন্য খাতুনগঞ্জে ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আ জ ম নাছির।
নগরের ৬টি আসনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে প্রচারে নেমেছেন ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, পেশাজীবী ও শ্রমিকরা। নগরে প্রতিদিন বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে প্রার্থীদের নিয়ে অলি গলিতে চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। নগরপিতা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে নৌকা প্রতীকের জন্য প্রার্থীদের নিয়ে ভোট চাইছেন।
প্রতিদিন তিনি কখনো বন্দর শ্রমিকদের সঙ্গে আবার কখনো ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে আবার কখনো সাংবাদিক সমাজ আবার কখনো পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন। একই সঙ্গে তাঁর নেতৃত্বে একাট্টা আছেন আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সিটি মেয়র নাছির উদ্দীন সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা আর বিশ্বাস করা এক নয়। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতেন না। সে কারণেই জিয়াউর রহমান গোলাম আজমকে দেশে এনেছেন। শাহ আজিজকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা কখনো বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন দিতে পারে না।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পক্ষে মতবিনিময়কালে মেয়র নাছির ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ব্যবসায়ী, আপনাদের ভিন্ন মতাদর্শ, মতপার্থক্য থাকতে পারে। আপনাদের যদি সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলার দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তবে অবশ্যই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
বন্দর শ্রমিকদের মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হবে। কেউ বেকার থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন আগামীবার সরকার গঠন করতে পারলে শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে।
ইতিমধ্যে বন্দর শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বন্দরে বর্তমানে হুইচম্যান পদে ৫৮১ জন শ্রমিক কাজ করছেন। দেশে দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে, শিক্ষার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উন্নয়নশীন দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না।
তিনি ৩০ ডিসেম্বর দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন উল্লেখ করে ওইদিন মূল্যবান ভোটটি নৌকা প্রতীকে দেয়ার আহ্বান জানান।