ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গেল রবিবার পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ১৩টি মামলা হয়েছে।
এসব মামলা করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও এমপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আটক কিংবা গ্রেফতার হয়েছেন, সেই হিসাব পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মামলা হলে প্রথমে তদন্ত হবে এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
পুলিশের আইজি মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ‘পুলিশ সদরদপ্তর মামলাগুলো মনিটরিং করছে। ফলে কেউ হয়রানির শিকার হবেন না। শুধু অপরাধীরাই আইনের হাতে ধরা পড়বে।’
পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ১৩টি মামলা হয়েছে।
এ সময় মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার লোকদের। এ ছাড়া গণহত্যা ও হত্যার অভিযোগও উঠেছে।
তালিকায় এমন কিছু সেলিব্রেটিও রয়েছেন যারা শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বা হত্যার প্রতিবাদ না করে নীরব ছিলেন।
এসব মামলায় কতজন আটক হয়েছেন তার হিসেব নেই। মামলাগুলোর মধ্যে অধিকাংশই হত্যা সংক্রান্ত। তবে কিছু মামলায় হামলা, ভাঙচুরসহ অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশের আইজি বলেন, মামলা হয়েছে, কিন্তু আমরা মামলাগুলো ক্লোজ মনিটরিং করছি। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ অফিসারসহ যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য ও ভিডিওর ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে অপরাধীদের ধরব এবং কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করব।
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ১৫৭টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও বিভিন্ন নেতাকর্মীও আসামি হয়েছেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ৩৮৮টি মামলা হয়েছে। তবে এই মামলার সারি ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে, আসামি হচ্ছেন অনেকে।
৩০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মামলা হওয়া মানে যত্রতত্র গ্রেপ্তার নয়। অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ দিচ্ছে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেছেন, ‘মামলার এজাহারে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করা হবে এমন নয়। কালেক্টিভ তদন্ত করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের আইজি মো. ময়নুল ইসলাম আরো বলেন, ‘মামলা হয়েছে, কিন্তু আমরা মামলাগুলো ক্লোজ মনিটরিং করছি।
রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ অফিসারসহ যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য ও ভিডিওর ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে অপরাধীদের ধরব এবং কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করব।’
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে, এর মধ্যে ১৫৭টি হত্যা মামলা। এসব মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও বিভিন্ন নেতাকর্মীও আসামি হয়েছেন।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ৩৮৮টি মামলা হয়েছে। তবে এই মামলার সারি ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে, আসামি হচ্ছেন অনেকে।
এক প্রশ্নের জবাবে ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও মামলা হচ্ছে। কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন। মামলাগুলোও মনিটরিং করা হচ্ছে।
যদি কেউ অপরাধী না হন, তবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। সাংবাদিকদের প্রফেশনাল কাজের জন্য যেন হয়রানি না হয়, তা আমরা দেখছি।’
জেএন/পিআর