কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৯০০ বন্দি এখনো পলাতক: আইজি প্রিজন্স

অনলাইন ডেস্ক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের কয়েকটি কারাগারে বিশৃঙ্খলা-বিদ্রোহ করেন বন্দিরা। বিভিন্ন কারাগারে বাইরে থেকে চালানো হয় হামলা-ভাঙচুর। এ পরিস্থিতিতে ২ হাজারেরও অধিক বন্দি পালিয়ে যান। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া বন্দিসহ বিচারাধীন মামলার আসামিরা ছিলেন। এখন পর্যন্ত ৯০০ বন্দি পলাতক রয়েছে।

- Advertisement -

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত কারা অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

- Advertisement -google news follower

তিনি জানান, ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে দেশের পট পরিবর্তনের সময় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। বাংলাদেশের কারা অধিদপ্তরে এর ব্যতিক্রম ছিল না। বেশ কয়েকটি কারাগারে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এবং প্রায় দুই হাজারের অধিক বন্দি কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।

এখন পর্যন্ত অনেক বন্দিদের গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি দুই একজন আসামি ফিরেও এসেছে। এখন পর্যন্ত ৯০০ বন্দি পলাতক রয়েছে।

- Advertisement -islamibank

আইজি প্রিজন্স বলেন, কয়েকটি কারাগার থেকে গোলাবারুদ লুটের ঘটনাও ঘটে। এছাড়াও কারাগার থেকে পালানোর সময় কয়েকজন বন্দির মৃত্যুসহ অনেক কারা কর্মকর্তা এবং কারারক্ষীরা গুরুতর আহত হন। অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ফলে দুটি কারাগারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। অনেক কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসস্থলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক সহায়তায় কারা বিভাগ সাহসিকতার সঙ্গে অন্যান্য কারাগারগুলো সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া অধিকাংশ বন্দিকেই কারাগারে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এর মধ্যে কিছু বন্দি স্ব ইচ্ছায় এবং বাকিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে কারাগারের লুটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের উল্লেখ্যযোগ্য অংশও উদ্ধার করা হয়েছে, অবশিষ্টগুলো উদ্ধারের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারাগারকে সেবাগ্রহণকারীদের আস্থাভাজন হিসেবে গড়ে তোলাসহ একটি প্রকৃত সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো পদায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন পূর্বক স্থবির পদোন্নতির ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনায়নসহ জনবল বৃদ্ধির ন্যায্য দাবিগুলোর বিষয়ে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে যথাযথ তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এক্ষেত্রে কারা বিভাগ নিশ্চয়তা প্রদান করছে যে, এখন থেকে কারা বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুততার সঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM