বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নেওয়া হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আর এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি সারতে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
কাগজের কলমে ‘এ’ দলের সফর হলেও, স্কোয়াড সাজানো হয়েছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে। তাই লঙ্কান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একক আধিপত্য দেখিয়ে যাচ্ছিলেন জ্যোতি-রাবেয়ারা।
ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়ে দুই ম্যাচ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল টাইগ্রেসরা। তবে চতুর্থ ম্যাচে হারের তিতো স্বাদ পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রানের জয় পেয়েছে লঙ্কানরা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থ্রুস্টানে টস জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের পুঁজি গড়ে লঙ্কানরা।
জবাবে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগ্রেসরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জার থেকে মুক্তি পেয়েছে স্বাগকিতরা।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। দলীয় ৩০ রানের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিক মেয়েরা।
পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন সাথয়া সান্দিপানি ও পিউমি ওয়াথশালা। ৪২ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তারা।
মারুফার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন পিউমি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ২৯ রান। মিডল অর্ডার এই ব্যাটারের বিদায়ের পর মালশা শেহানিকে সঙ্গে নিয়ে আবারও জুটি গড়ার চেষ্টা চালান সাথয়া।
শেষ পর্যন্ত সাথয়ার ৩৩ বলে ৪৬ রান এবং শেহানির ১৪ বলের অপরাজিত ২১ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপযর্য়ে পড়ে বাংলাদেশও। লঙ্কান বোলাদের ধাক্কা সামলাতে না পেরেছে ১০৫ রানেই সব উইকেট হারিয়ে বসে টাইগ্রসরা। এতে ১৯ রানের জয় পায় শ্রীলঙ্কা। তারপরও ৩-১ ব্যবধানের এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
জেএন/পিআর