ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন।
গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ্যে আসেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম। এর ঠিক একদিন পরই রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাবি শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের পরিচয়ও জানা যায়।
এরই মধ্যে এবার প্রকাশ্যে এলো ঢাবি শিবিরের আরেক নেতা। এই নেতার নাম সিবগাতুল্লাহ। তিনি বর্তমানে শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় এক নেতা সাংবাদিকদের জানান, ঢাবিতে কখনই সংগঠনটি নেতৃত্বহীন ছিল না। প্রতিবছরই কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এখন সময় এসেছে সবাইকে প্রকাশ্যে আনার।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন সিবগাতুল্লাহ। বর্তমানে তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বর্তমান ঢাবি শাখার নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের নিয়মিত যোগাযোগ এবং আন্দোলনের রোডম্যাপ তৈরিতে সমন্বয় করেন সিবগাতুল্লাহ। সিবগাতুল্লাহর সময় ঢাবিতে সেক্রেটারির দায়িত্বে ছিলেন মো. শাহিনুর রহমান।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের শিবিরের ভূমিকার বিষয়টি সামনে আনেন।
তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটা সংস্কার আন্দোলনে থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার।
কাদেরের ভাষ্য অনুযায়ী, ৯ দফা প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল ছাত্রশিবির। যেহেতু নেট নেই, গোলাগুলি-কারফিউয়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশরীরে হাউসে হাউসে তথ্য পৌঁছে দেওয়া, বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা তারাই করেছে।
শুধু তাই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ফরহাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই ৯ দফা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান কাদের।
জেএন/পিআর