রাউজানে মহাজোট প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে ঝিমিয়ে পড়েছে বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকাদারের ধানের শীষ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আলীর প্রতীক হাতপাখার প্রচারণা।
প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তায়কান্ডো ফেডারেশন, চট্টগ্রাম ক্রীড়া পরিষদ, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, রাউজান রোজ গার্ডেন ক্লাব ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রচারণায় নেমেছেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ৪র্থ বারের মতো নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকদার প্রতীক বরাদ্দের পর রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষে ভোট চেয়ে ভোটারদের কাছে প্রচারপত্র বিলি করেন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আবদুল আলীও হাতপাখা প্রতীকে ভোট চেয়ে এলাকায় গণসংযোগ করেন।
মহাজোট প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, আমি রাউজানের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। এ কারণে রাউজানের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ আমাকে ভালবাসে। নির্বাচনে রাউজানের জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।
বিএনপির প্রার্থী জসিম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমি নির্বাচনের মাঠে আছি। রাউজানের মানুষ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর নাহার বলেন, আমাদের এলাকায় কোন বিদ্যুৎ ছিল না, ছিল না ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফজলে করিম চৌধুরী আমাদের এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছেন। আমাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এনে দিয়েছেন। আমি ও আমার এলাকার লোকজন নৌকা প্রতীকে ভোট দেব।
পশ্চিম রাউজান হরিশখান পাড়া এলাকার ১২০ বৎসর বয়সের বৃদ্ধ আবদুল গফুর কখনো নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়া হয়নি দাবি করে বলেন, রাউজানে ব্যাপক উন্নয়ন করার কারণে এবার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে মরতে পারলে আমার আত্মা শান্তি পাবে।
এলাকার কৃষক নুরুল আলম বলেন, রাউজানে ফজলে করিম চৌধুরী যে উন্নয়ন করেছেন, আর কোন এমপি এত উন্নয়ন করেননি।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, রাউজানে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও রাউজানকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করার কারণে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবে রাউজানের মানুষ।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শামীম হোসেন রেজা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, রাউজানে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন সহিংসতা হয়নি। রাউজানে ৫ প্লাটুন বর্ডার গার্ড, ৭০ জন সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।