ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের গ্রেফতারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। এবার গ্রেফতার করা হয়েছে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের খুলশি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানিয়েছে, একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নোয়াখালীর প্রভাবশালী ও আলোচিত নেতা একরামুল করিম চৌধুরী। এক সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠভাজন হলেও পরে তার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন হয়। ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মির্জা কাদেরে সঙ্গে বিভিন্ন সময় তার বিরোধী প্রকাশ্যে আসে। এছাড়া এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অপকর্মের কারণে বারবার আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম বার নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর প্রতিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের টিকিটে তিনি বিজয়ী হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের এই নেতা নোয়াখালীর রাজনীতিতে পারিবারিক বলয় সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নোয়াখালীর কবিরহাট ও সুবর্ণচরের বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধি ছিলেন একরামুল করিম চৌধুরীর স্বজন। তার স্ত্রী কামরুন নাহার শিউলি ছিলেন কবিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান। ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন সবশেষ উপজেলা নির্বাচনে। ভাগনে জহিরুল হক রায়হান ১৫ বছর ছিলেন পৌর মেয়র। আর ভাই হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াস ছিলেন সুন্দলপুরের ইউপি চেয়ারম্যান। আরেক ভাই হাজি মোহাম্মদ ইব্রাহিম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার বেয়াই ঢাকার সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
জেএন/এমআর