অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের যুদ্ধবিমান শিন বেত (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) এর সঙ্গে সমন্বয় করে এই হামলা চালিয়েছে।
পরে একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করে, তারা হামাসের তুলকারেমে অবকাঠামোগত প্রধানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
তবে হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ফয়সাল সালামা নামের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে এই আক্রমণ পরিচালিত হয়েছে।
আল জাজিরার সানাদ ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সি দ্বারা যাচাই করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শরণার্থী শিবিরের চারপাশ ধ্বংসস্তূপে ঢাকা এলাকা এবং আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পশ্চিম তীরে হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) অনুযায়ী, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে মারা গেছেন।
কিছু ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
আম্মান থেকে আল জাজিরার নুর ওদেহ বলেন, ‘গত ২০ বছরের মধ্যে পশ্চিম তীরে এটি সবচেয়ে বড় এবং প্রাণঘাতী বিমান হামলা। এমনকি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময়েও এমন আক্রমণ দেখা যায়নি।’
উল্লেখ্য, তুলকারেম শরণার্থী শিবিরে ২১ হাজারের বেশি মানুষ মাত্র ০.১৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বসবাস করছেন। এটি অনেক ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র এলাকা।
জেএন/পিআর