চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন ‘বাংলার সৌরভ’ নামে আরও একটি জাহাজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় মধ্যসাগরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম কার্যালয়ের মোবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দিন।
তিনি বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কল পেয়ে আমরা তেলের ট্যাংকারে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত হই। উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফিশিং ট্রলারগুলো। পরে আসে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার করেন, জাহাজের ৪৮ নাবিককে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেক নামে এক নাবিকের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের রেডিও কনট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, জানা গেছে, ১১ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ক্রুড ওয়েল নিয়ে নোঙরের অপেক্ষায় ছিলো ট্যাংকারটি। ট্যাংকারটিতে ক্রুসহ মোট ৫০ জন কর্মরত ছিলেন। চার ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কর্ণফুলী নদীর ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজে আগুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, বিএসসির বহরে রয়েছে দুইটি তেলের ট্যাংকার। ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ও ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের ট্যাংকার দুইটি ১৯৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল ডেনমার্কে। ট্যাংকার দুইটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমান বড় ট্যাংকার থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে পতেঙ্গার বিভিন্ন ডিপোতে নিয়ে আসে।
জেএন/এমআর