প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের মত চট্টগ্রামেও চলছে প্রতিমা বিসর্জন। চোখের জ্বলে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানাচ্ছেন ভক্তরা।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে পতেঙ্গা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ছাড়াও পাথরঘাটা গঙ্গাবাড়ি এলাকায় কর্ণফুলীতে, কালুরঘাট এলাকায়, কাট্টলী রানী রাসমনি ঘাটেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকত সহ চট্টগ্রাম জেলা বিভিন্ন উপজেলায় নদী বা পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হবে প্রতিমা।
সনাতন ধর্ম মতে, আজ দশভুজা দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে গেলেন। তবে আবারও ভক্তদের কাছে দিয়ে গেলেন আগামী বছর ফিরে আসার অঙ্গীকার।
তাই আবারও মর্ত্যলোকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে দেবীকে বিদায় জানান।
দুর্গা বিসর্জনের সব প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জি। তিনি বলেন, বেলা ১২ থেকে পতেঙ্গা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ১৬ থানার তিন শতাধিক প্রতিমা এখানে বিসর্জন দেওয়ার কথা রয়েছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব প্রতিমা বিসর্জন সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসন প্রতিমা বিসর্জনে সহায়তা করছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, মেডিক্যাল, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টের টিমও রয়েছে। এ বছর চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২ হাজার ৪৫৮টি মণ্ডপে। এর মধ্যে মহানগরে ২৯৩টি ও জেলার ১৫টি উপজেলায় পূজামণ্ডপ রয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি। জেলার ১৫টি উপজেলায় ২ হাজার ১৬৫টি মণ্ডপের মধ্যে প্রতীমা পূজা ১ হাজার ৫৯৪টি বাকিগুলো ঘটপূজা। পূজামণ্ডপের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলায়া ২৯৯টি, কর্ণফুলীতে ২৮টি, মিরসরাইয়ে ৯০টি, সীতাকুণ্ডে ৬৭টি, সন্দ্বীপ ৩০টি, ফটিকছড়িতে ১২৩টি, হাটহাজারীতে ১১৪টি, রাউজানে ২২৮টি, রাঙ্গুনিয়ায় ১৬১টি, বোয়ালখালীতে ১৪৬টি, পটিয়ায় ১৯৫টি, চন্দনাইশে ১২৮টি, সাতকানিয়ায় ১৮৪টি, লোহাগাড়ায় ১১১টি, বাঁশখালীতে ২৫০টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে।
জেএন/এমআর