চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হওয়া হাতিটি মারা গেছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটির মৃত্যু হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জ কার্যালয় সংলগ্ন এলিফ্যান্ট ওভারপাস এলাকায় গুরুতর আহত হয় হাতিটি। এরপর থেকে রেললাইনের পাশেই পড়ে ছিল হাতিটি। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আহত হাতিটির পাশে দাঁড়ান। একই সঙ্গে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের হাসপাতালের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিটিকে চিকিৎসা দেয়। স্যালাইন এবং বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ প্রয়োগে পরও হাতিটির শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে হাতিটিকে রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাতিটির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়। কিন্তু কোনোভাবে হাতিটিকে আর বাঁচানো যায়নি। এদিন বিকেলেই হাতিটি মারা যায়।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেনারি কর্মকর্তা জুলকার নাইন বলেন, হাতিটির চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। মূলত আহত হওয়ার পর থেকে হাতিটির বাঁচার সম্ভাবনা কম ছিল। মেরুদণ্ড, মাথা ও পায়ে মারাত্মক আঘাতজনিত কারণে মারা গেছে হাতিটি। ময়নাতদন্তের পর হাতিটি পুঁতে ফেলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতির একটি দল রোববার রাতে অভয়ারণ্যে বিচরণ করছিল। রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেনটি হাতিটিকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। হাতিটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর বলে জানা গেছে।
চুনতি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, ঘটনার সময় ট্রেন এলিফ্যান্ট ওভারপাস এলাকায় পৌঁছালে রেললাইনে একটি হাতির দল ওঠে পড়ে। এসময় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। পরে বাকি হাতিরা পার হতে পারলেও একটি হাতি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
জেএন/এমআর