নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া একাধিক বন্যার কারণে সবজির দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এরমধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় কাঁচামরিচ। কয়েক বছরে এর দাম বেড়েছে বহুগুণ। মরিচের দাম কমাতে ভারত থেকে পণ্যটি আমদানি শুরু হয়েছে।
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে আমদানি করা হয়েছে ৪৯৮ টন কাঁচা মরিচ। এর মধ্যে গত সোমবার ৫৬টি ট্রাকে ৩৮৬ মেট্রিক টন ও মঙ্গলবার ১২টি ভারতীয় গাড়িতে ১১২ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রাশেদুল সজীব নাজির সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফ্রুটস এজেন্সি, মেসার্স আল্লাহর দান, মেসার্স সুমি এন্টারপ্রাইজসহ ২৮টি আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে।
প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া কেজিপ্রতি আদমানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক দিতে হবে ৩৬ টাকা। সে হিসেবে আমদানীকৃত প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে ৯৬ টাকা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক-কর পরিশোধ করে আজ সন্ধ্যার আগেই মরিচবোঝাই গাড়ি বন্দর এলাকা ত্যাগ করেছে।
বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচা মরিচ যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এতে কাঁচা মরিচের দাম কমতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে আমদানির খবরে বেনাপোল বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। এক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত কমে বিক্রি হয়েছে পণ্যটি। মঙ্গলবার বাজারে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় গাড়িতে প্রায় ১১ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। শুল্ককর পরিশোধ করে সন্ধ্যার আগেই মরিচবোঝাই গাড়ি বন্দর এলাকা ত্যাগ করে।
জেএন/পিআর