জয়ের মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। দেখার ছিল শেষ দিনে হারের ব্যবধান কতটা কমাতে পারে ভারত। শুরুর ধাক্কা সামলে প্রত্যাশিত বড় জয়েই সিরিজে এগিয়ে গেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
বেঙ্গালুরু টেস্টে ৮ উইকেটে জিতেছে কিউইরা। শেষ দিনে তাদের করতে হতো ১০৭ রান। প্রথম সেশনেই ২৭.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারী দলটি। ভারতের নিউজিল্যান্ডের এটি তৃতীয় টেস্ট জয়।
উপমহাদেশ সফরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেনি বৃষ্টির কারণে। এরপর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল নিউজিল্যান্ড।
সেটাও ভারতের মতো অপ্রতিরোধ্য এক দূর্গে। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল ব্ল্যাক ক্যাপস বাহিনী।
ভারত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মূলত ম্যাচের প্রথম প্রথম দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। পরের দিন টসে জিতে ব্যাটে নেমে লাঞ্চের খানিক পরেই ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৬ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
জবাবে ৪০২ রান তুলে ৩৫৬ রানের বিশাল লিড পায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাড়িয়ে ৪৬২ রান তুলতে পারে ভারত।
লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিন স্রেফ ৪ বল খেলে কোনো রান করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এদিন দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন টম লাথাম।
দলীয় ১৩তম ওভারে আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকেও (২৯ বলে ১৭) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৩৫ রানে প্রতিপক্ষের ২ উইকেট তুলে নিয়ে হয়ত বিস্ময়কর কিছুর স্বপ্নও দেখছিল স্বাগতিকরা।
কিন্তু উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে সেই স্বপ্ন ভাঙতেও সময় লাগেনি। অবিচ্ছিন্ন ৭৫ রানের জুটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন দুজন। ইয়াং ৭৬ বলে ৭টি চার ও ১ ঝক্কায় ৪৮ রানে এবং রাচিন ৪৬ বলে ৬ চারে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পুনেতে শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৪৬ (জয়সয়াল ১৩, পন্ত ২০; হেনরি ৫/১৫, ও’রুক ৪/২২) ও ৪৬২ (রোহিত ৫২, সরফরাজ ১৫০, কোহলি ৭০, পন্ত ৯৯; হেনরি ৩/১০২, ও’রুক ৩/৯২, এজাজ ২/১০০)।
নিউজিল্যান্ড: ৪০২ (কনওয়ে ৯১, রাচিন ১৩৪, সাউদি ৬৫; জাদেজা ৩/৭২, কুলদিপ ৩/৯৯, সিরাজ ২/৮৪) ও ১১০/২ (লাথাম ০, কনওয়ে ১৭, ইয়াং ৪৮*, রাচিন ৩৯*; বুমরাহ ৮-১-২৯-২, সিরাজ ৭-৩-১৬-০, জাদেজা ৭.৪-১-২৮-০, কুলদিপ ৩-০-২৬-০, আশ্বিন ২-০-৬-০)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে।
জেএন/পিআর