গ্রাহকদের অতিরিক্ত প্রমোশনাল (প্রচারমূলক) এসএমএস পাঠানোয় দেশের শীর্ষ তিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির তথ্যমতে—গ্রাহকদের প্রতিদিন তিনটির বেশি প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানোর জন্য প্রত্যেক অপারেটরকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, গত বছর বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মোবাইল অপারেটরগুলো দিনে তিনটির বেশি প্রমোশনাল এসএমএস গ্রাহককে দিতে পারবে না। এ নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা দিতে হবে।
নির্দেশনা না মানায় গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে গ্রাহকদের প্রতিদিন তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংককে পৃথক পৃথকভাবে সতর্ক করেছিল। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিটিআরসি।
অপারেটরগুলো তখন বিটিআরসির কাছে তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরে চিঠি দেয়।
অপারেটরদের দাবি, হ্যান্ডসেট, নিষ্ক্রিয় সিম ও অন্যান্য কারণে গ্রাহকদের কাছে এসএমএস সরবরাহের হার ৭০ শতাংশের কম হওয়ায় প্রতিদিন তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানো প্রয়োজন হয়।
তবে বিটিআরসির যুক্তি হলো—প্রতিদিন তিনটির বেশি প্রচারমূলক এসএমএস পাঠানো গ্রাহকদের মানসিকভাবে হয়রানির কারণ। সেজন্য সব যুক্তি-তর্ক শেষে সম্প্রতি তিন অপারেটরকে অনুষ্ঠানিকভাবে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে রাজি হননি। লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজ বলেন, ‘এটাকে খুব ছোট বিষয় হিসেবে অপারেটরগুলো দেখাতে চাইছে। বিটিআরসি গ্রাহকদের দিকটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। যতদূর জানি, দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার পর এটি নিয়ে চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্তের জায়গায় যাওয়া হয়েছে। সেটা বাস্তবায়নে বিটিআরসি কাজ করবে হয়তো।’
মোবাইল অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারাও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি। তারা বলছেন, বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে কয়েক বছর আগে প্রচারমূলক এসএমএস বন্ধ করার সুযোগ গ্রাহকদের দিয়েছেন তারা।
তথ্যমতে, গ্রাহকরা শর্ট কোড ডায়াল করে ডু নট ডিস্টার্ব পরিষেবা সক্রিয় করতে পারেন, যার ফলে তাদের মোবাইলে অপারেটরদের প্রচারণামূলক এসএমএস আসবে না। এজন্য গ্রামীণফোন থেকে *১২১*১১০১#, বাংলালিংক থেকে *১২১*৮*৬# এবং রবি ও এয়ারটেল থেকে *৭# ডায়াল করতে হবে।
জেএন/এমআর