৯ বছর পর মিরপুরের মাঠে টেস্ট, কতো আশা আর রোমাঞ্চ নিয়ে গ্যালারি ও টিভির সামনে বসেছিলেন দর্শক। কিন্তু শুরু থেকেই সবাই হতাশ টাইগারদের ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ ব্যাটিংয়ে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান ওপেনার সাদমান। এর এক ওভার পরই একই পথ ধরে মুমিনুল হক।
এই আসা-যাওয়া এখানেই শেষ নয়, তাতে যোগ দেন ক্যাপ্টেন শান্তও। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে কেশব মহারাজের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
বাংলাদেশের স্কোর তখন তিন উইকেট ২১ রান। একে একে এই তিন জনকে শিকার করেন মুলডার।
তবে প্রথম সেশনের দৃশপট আরও বাকি ছিল। এবার আক্রমণ করেন রাবাদা। ১৩ দশমিক পাঁচ ওভারে মুশফিকের স্ট্যাম্প উপড়ে উদযাপনে মাতেন তিনি।
মিডল অর্ডারের শেষ ভরসা ছিলেন লিটন কুমার দাস। অতিরিক্ত বাউন্সে ব্যাটের কানায় লেগে বলে চলে যায় স্টাবসের হাতে। এর মধ্য দিয়ে ফুরিয়ে যায় ব্যাটারদের সারির অর্ধেক। বাংলাদেশের স্কোর তখন পাঁচ উইকেটে ৪৫ রান।
এরপর ব্যাট করতে আসেন মেহেদী মিরাজ। স্কোর বোর্ড কিছুটা সচল করলেও তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি কেশব মহারাজ।
২৬তম ওভারে মিরাজকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপরই খেলায় মধ্যাহ্ন বিরতি দেন আম্প্যায়ার।
তবে এই আসা-যাওয়ার মধ্যে মাটি কামড়ে পিচে দাঁড়িয়ে আছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
বিরতির আগ পর্যন্ত ইনিংসে খেলা ১৫৭টি বলে মধ্যে ৮৬টির মোকাবিলায় ১৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। আর বাংলাদেশের সংগ্রহ মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ছয় উইকেটে ৬০।
বাকিরা কতক্ষণ সিংহবাহিনীর সমানে টিকবেন, এখন তা-ই দেখার অপেক্ষা।
জেএন/পিআর