ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ এবং চবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনায় হাটহাজারী থানার ওসি হাবিবুর রহমানের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তার প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘এক দফা এক দাবি, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধের দাবি’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, সন্ত্রাসীদের বিচার’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘প্রত্যাহার প্রত্যাহার, ওসির প্রত্যাহার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, রক্তের বিনিময়ে কেনা এই ক্যাম্পাস আমরা কোনো ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেব না।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় চালায়। আমরা পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ এসেছে ৭টার সময়।
হাটহাজারী থানার ওসি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার অধীনে চবি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার প্রত্যাহার চাই।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চবির অন্যতম সমন্বয়ক ইসহাক ভূইয়া। দাবিগুলো হলো–
১. আজকে যারা হামলা করেছে, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হানিফ ও তার সহযোগীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. হাটহাজারী থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে রেলগেট, এক নম্বর গেটে পুলিশ বক্স এবং সিসিটিভির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. গণহত্যায় অংশগ্রহণ ও সমর্থনকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি এবং একাডেমিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৬. দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের আশপাশের এরিয়ায় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্বনামধন্য কোম্পানি থেকে হাই স্পিড ওয়াইফাই সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
জেএন/পিআর