কক্সবাজার সদরের সদরের পিএমখালীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও কার্তুজসহ মো. আলম (৩৪) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার পিএম খালী ইউনিয়নের তোতকখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র-গুলিসহ তাকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব-১৫।
আটক আলম টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক এইচের বাসিন্দা। তিনি পরিবারের সঙ্গে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
আজ শনিবার সকালে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুছুনি এলাকা ও পার্শ্ববর্তী হ্নীলা এলাকায় অপহরণকারীরা বিভিন্ন পেশার মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অপহরণ ও মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় করছে।
এসব ঘটনা যাচাই-বাছাই ও জড়িতদের অস্ত্রের জোগান দাতাদের শনাক্তকরণে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল কার্যক্রম শুরু করে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে র্যাবের একটি দল অস্ত্র বেচাকেনার খবর পেয়ে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে অভিযান চালায়।
র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে রোহিঙ্গা নাগরিক মো. আলমকে একটি অস্ত্র ও একটি কার্তুজসহ আটক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. আলম একজন পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে টেকনাফের হ্নীলা এলাকা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপহরণকারীদের চাহিদা অনুযায়ী অস্ত্র সরবরাহ করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জেএন/পিআর