অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘সেন্টমার্টিন নিয়ে শুধু শুধুই পানি ঘোলা করা হচ্ছে।
আপনি যাই করবেন একটা গোষ্ঠি রয়েছে যারা নেতিবাচক প্রচারণা করে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সেটা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনি কি সেন্টমার্টিনটা আগে বাঁচাবেন, নাকি পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশ ঘটাবেন? যেভাবে করে সেন্টমার্টিনে এখন পর্যটন চলছে এটাকে আমার পক্ষে শিল্প বলা সম্ভব না। আমারা সেন্টমার্টিনটাকেও বাঁচাব, একই সঙ্গে পর্যটনটাও বাঁচাতে হবে।’
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ওয়ান হেলথ ডে’র অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে যে- সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে হোটেল-মোটেল হচ্ছে। কোরাল তুলে নিয়ে হোটেলে লাগান হচ্ছে।
পর্যাটকেরা গিয়ে কোরাল তুলে ফেলছে। বিশ্বের অনেক দেশে কোরাল দ্বীপে রাত্রিযাপন তো দূরে থাক, দিনে বেলা আপনাকে নিয়ে যাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে।’
উপদেষ্টা রিজওয়ানা জানান, আমরা পর্যটকদের যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করিনি। সেন্টমার্টিন রক্ষা ও পর্যটন একইসঙ্গে সমন্বয় করছে সরকার।
সেন্টমার্টিনে নভেম্বরে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরতে হবে। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
বন্যপ্রাণীর অধিকার নিয়েও কথা বলেছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা। বলেন, ‘শুধু মানবাধিকার নিয়ে কথা নয়, বন্যপ্রাণীর অধিকার নিয়েও সচেতন হতে হবে। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’
বর্তমানে হাতি চলাচলের পথ যে অবস্থায় আছে তা খুবই অ্যালার্মিং বলেও উল্লেখ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা।
এ সময় রাজনীতিতে মাইনাস টু ফর্মুলা ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আছে।
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাচ্ছে এটা তাদের যৌক্তিক দাবি। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি অমূলক নয়। সরকারও নির্বাচন চায়।
তবে সরকার আগে সংস্কার করতে চায়, পাশাপাশি নির্বাচনকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে।’
সম্প্রতি শিল্পকলায় ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার পক্ষে নয়।
এমন কাজ সমর্থন করে না সরকার। শিল্পকলায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় আইনি পদক্ষেপের বিষয়টি শিল্পকলার মহাপরিচালক দেখছেন।
জেএন/পিআর