শীতকাল বাঙালির ক্যালেন্ডারে নিয়ে আসে উৎসবের বারতা। চলতি শীত নিয়ে এল উৎসবের বাড়তি উপলক্ষ। পক্ষকাল ধরে বাংলার শীতের হাওয়া পরিণত হলো ভোটের হাওয়ায়। মানুষের মনে শঙ্কা ছিল, ছিল চাপা ভয়। কিন্তু দিন গড়াতেই সূর্যের আলোর তেজের সঙ্গে উবে গেল শীতের আলস্য, কেন্দ্রে কেন্দ্রে নেমে এল ভোটারের ঢল।
দেশজুড়ে ঐতিহাসিক নির্বাচন ও এই বিরাট কর্মযজ্ঞ নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ যতই থাকুক, অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে যাচ্ছে। সন্ধ্যা নামতেই নগরজুড়ে প্রতীক্ষা সিটি মেয়র কী ভাবছেন? কনকনে শীত জেঁকে বসার আগেই প্রতিক্রিয়া জানা গেল চট্টগ্রামের নগরপিতা, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের।
মোবাইলে ভেসে এলো মহোৎসবের মহাজয় মহানেত্রীকে উৎসর্গের। চট্টগ্রাম নগরজুড়ে ভোটের টানটান উত্তেজনায় সিটি মেয়র শান্ত কণ্ঠে বললেন- এই জয়ের সকল কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শত প্রতিকূলতাকে জয় করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করে চলেছেন। তরুণদের ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিতে পেরেছেন। ফলে এই বিরাট গণরায়। এই বিজয় গৌরবের।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত দশ বছরের উন্নয়নের চিত্র আমরা জনগণের কাছে তুলে ধরেছি। যে অর্থনৈতিক মুক্তির দিশা তিনি দেখিয়েছেন তার উপর আস্থা রেখে ভোট দিয়েছেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষ । এই মহাবিজয় মহানেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাকে উৎসর্গ করবো?
বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৮ বছর পর এই প্রথম কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো দলীয় সরকারের অধীনে। ৯১ সালের পর এই প্রথম হাসিনার বিপক্ষে ছিল না খালেদা। বাংলাদেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবগুলোই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের একজন প্রার্থীর মৃত্যুর পর ২৯৯টি আসনে নির্বাচন সুসম্পন্ন হলো।