রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, সবাই তার বাড়ির কাছে রেল স্টেশন চায়। সেটা হয়তো আমরা দিতে পারবো না। তবে রেলের রুট রেশনালাইজেশনের কাজে হাত দিয়েছি। সেই জায়গায় আপনাদের সহযোগিতা চাই। ইতোমধ্যে আমরা ই-টিকিটিং ব্যবস্থার পরিবর্তন এনেছি। আপনারা হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন।
আজ (বুধবার) বিকেলে রেল ভবনে রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের সদস্যদের সঙ্গে উপদেষ্টার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এই সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এটাও সত্য তথ্য গোপন করার একটা বিষয় থাকে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে তথ্য দেওয়া যেতে পারে। সড়ক ও রেলে আর তথ্য পেতে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না, দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়গুলো দেখবেন।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, কোন তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যায়, সেগুলো করার ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য ওয়েবসাইটটা নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে। এই বিষয়গুলো রেল ও সড়কের সচিব দেখবেন।
রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। কাউকে বেআইনিভাবে প্রকল্প দেওয়া হবে না। সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের তথ্য দিলে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।
মেগা প্রকল্পের বিষয়ে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, কর্ণফুলী টানেল নিয়ে এখন নানা ধরনের প্রতিবেদন হচ্ছে। কিন্তু এখন কর্ণফুলী টানেলকে নিয়ে কিছু আর করার নেই, কারণ প্রকল্পটা হয়ে গেছে। ফলে সাংবাদিকদের অনুরোধ করবো আপনারা আগেই একটা প্রকল্পের ভালো-খারাপ সুবিধা-অসুবিধা, কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু হচ্ছে কি না সেই বিষয়গুলো আগেই তুলে ধরবেন, তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রিপোর্টার্স ফর রেল এন্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
জেএন/এমআর