একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মহাবিজয় পেতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ভরাডুবি হতে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি জোটের। বেসরকারিভাবে প্রকাশিত ফলাফলে এমন আভাস মিলেছে।
রিটানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ১৮৬, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পাঁচটি এবং অন্যান্য প্রার্থীরা তিনটি আসনে বিজয়ী হয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলার ১৬ আসনের সবকটির ফলাফলে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
এই নির্বাচন নিয়ে ছিল চাপা উত্তেজনা, ছিল আশঙ্কা। কিন্তু দিন শেষে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও ডজন খুনের ঘটনার পর ঘরে এসেছে আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয়। সতর্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো জায়গায় কেউ আনন্দ মিছিল করবেন না। এখন আনন্দ মিছিল করার সময় নয়, দেশ গঠনের সময়।
চলতি বছরই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭০ বছরে পদার্পণ করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে ছিল ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী। যখন দেশে সামরিক শাসন জারি ছিল, তখনও তারাই রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল প্রধান শক্তি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগ এ ভূখণ্ডের প্রধান রাজনৈতিক দল।
এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে নির্বাচনে ‘শান্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে’ভোটগ্রহণের চিত্র পেয়েছেন ভারতীয় পর্যবেক্ষকরা। ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা আরিজ আফতাব গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের কাছে ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিবেশ শান্ত ও শান্তিপূর্ণ মনে হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইতিহাসের মুখোমুখি হওয়ার কিছু সুবর্ণ সুযোগ আসে। ৭০ বছরের মুখে আওয়ামী লীগ দলটি উন্নত বিশ্বের সারিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে জনপ্রিয় স্লোগান নিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এল। স্লোগানটি হলো- উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।