বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম নামের এক ট্রলার মাঝির মৃত্যু হয়েছে।
তাছাড়া জলদস্যুদের হাত থেকে প্রাণ বাচাঁতে ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা সাগরে ঝাঁপ দেন। তারা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলের পশ্চিমে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোকাররম মাঝি উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম সিকদার পাড়া এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে এবং উত্তর ধুরুং ইউপির মহিলা সদস্য (মেম্বার) রহিমা বেগমের স্বামী।
কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার পশ্চিমে জলদস্যুর কবলে পড়েন একটি মাছ ধরার ট্রলার।
এসময় জলদস্যুর গুলিতে মোকাররম মাঝি নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। ট্রলারে থাকা অন্য জেলেরা নিখোঁজ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর সোনাদিয়ার চ্যানেলের বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে মোকাররম মাঝির মাছ ধরার ট্রলার জলদস্যুর কবলে পড়েন। জলদস্যুরা ওই ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ট্রলারে থাকা মোকাররম মাঝি গুলিবিদ্ধ হন এবং সাগরে পড়ে যান।
পরে অন্য ট্রলারের জেলেরা ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। নিহতের লাশ বর্তমানে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত একজনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এতে নিহতের শরীরের বুকের ডান পাশে বগলের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জেএন/পিআর