এক মাসের অধিক সময় বন্ধ থাকার পর পাহাড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবানের পর্যটনের দুয়ার খুলেছে।
তাই বান্দরবানের ঘুরতে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, পর্যটক পরিবহনে চাদের গাড়ী, সিএনজি ও মাহিন্দ্রা ২০ শতাংশ এবং খাবার হোটেলেগুলোতে ১০ শতাংশ মিলে ৫টি খাতে মাসব্যাপী বিভিন্ন মাত্রায় ডিসকাউন্ট (ছাড়) ঘোষণা দিয়েছেন বান্দরবান পর্যটন ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় বান্দরবান গ্র্যান্ডভ্যালী হোটেল মিলনায়তনে এক প্রেস কনফারেন্সে এ বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
বান্দরবান পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. নাছিরুল আলম বলেন, এ জেলায় ভ্রমণকারী পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ এর পক্ষ হতে এ ছাড় ঘোষণা করেছেন।
এসময় বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন বলেন, জেলায় সবমিলে ৯৪ টি হোটেল রিসোর্ট রয়েছে। এসব হোটেলের প্রায় ৮ হাজার পর্যটক ধারণক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি হোটেলে এ ছাড়ের চার্ট রাখা হবে, যাতে পর্যটকরা বান্দরবান ভ্রমণে এসে হয়রানির শিকার না হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বান্দরবান পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট জিপগাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলম, জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, ন্যাচারাল পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওসমান গনি, কিউবি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী মফিজুল ইসলাম মামুনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবান সদর, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি চারটি উপজেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আর অন্য তিনটি উপজেলা রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভ্রমণের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি পাহাড়ে সহিংস ঘটনার কারণে প্রশাসন থেকে ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ভ্রমণ বন্ধ থাকায় বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।
জেএন/পিআর